স্ত্রী খুনের মামলায় বাবুলসহ ৭ জনের নামে অভিযোগপত্র
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫৮ এএম

অভিযোগপত্রে বলা হয়, অন্য নারীর সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় স্ত্রী মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য বাবুল তাঁর সোর্সের (তথ্যদাতা) মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। পিবিআইয়ের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুলের স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।
অভিযোগপত্রে বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি ছিলেন এ মামলার বাদী। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া।
অভিযোগপত্রভুক্ত সাত আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার। জামিনে আছেন এহতেশামুল। মুসা ও কালু শুরু থেকে পলাতক।
চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। তাঁরা হলেন সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, নুরুন্নবী, মো. রাশেদ ও আবু নাছের। এর মধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার পরের সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। মাহমুদাকে খুনে বাবুল তিন লাখ টাকা দেন।
মাহমুদা হত্যার পরদিন ২০১৬ সালের ৬ জুন বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। মোশাররফের মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে, আদালত তা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেননি। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিল পিবিআই।