.png)
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি ঘাতকরা
১৭ আগষ্ট ২০২২, ২:০৯ পিএম
বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করলেও ঘাতকরা তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (১৭ আগস্ট) আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
পলক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিভেদের যে বিষবৃক্ষ রোপন করা হয় তার শাখা, প্রশাখা আজ বিস্তৃত। সরকার পরিবর্তন হয় কিন্তু ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটনকে নিয়ে কখনও সমালোচনা করতে শোনা যায় না। পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছর বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। যে মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকেন তাকে কেউ মারতে পারে না। বঙ্গবন্ধু সবসময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতেন। মৃত্যুকে ভয় পেতেন না। বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করলেও ঘাতকেরা তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি।
• আরও পড়ুন : খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরাতে জোর চেষ্টা চলছে : হাইকমিশন
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা নিছক একটি হত্যাকাণ্ড নয়। এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে চিরতরে নস্যাৎ করার একটি সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা এবং ডক্টরেট দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পৃথিবীর ২০০টি রাষ্ট্রে পালিত হয়েছে। এখন প্রত্যেককে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সোনার মানুষে পরিণত হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদের অনুপ্রেরণায় গত ১৩ বছরে প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শহর-গ্রাম, ধনী-দরিদ্রদের মধ্যে কিছুটা হলেও বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়েছে। নারী-পুরুষের বিভেদ, বৈষম্য দূর করার চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৭১-এর পরাজিত অপশক্তি পরাজয়ের গ্লানির প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই ঘাতকচক্র শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের, এমনকি ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছে। কারণ তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানেও যেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ তার আদর্শকে ধরে রাখতে না পারে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী ও অনুসারী কেউ যেন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা লালন করতে না পারে তার জন্য এ হত্যাকাণ্ড।
• আরও পড়ুন : চিরঞ্জীব মুজিব
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ট্রাস্টি মফিদুল হক, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ প্রমুখ।
.jpg)
