নবাবগঞ্জে দশ বছর পর জমির দখল পেলেন মালিক
০৪ ডিসেম্বার ২০২২, ৮:৩১ পিএম

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় জমি ক্রয়ের দশ বছর পর দখল পেলেন জমির মালিক লাকি আহমেদ। ঘটনাটি উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নতুন বান্দুরা এলাকার। রবিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিনা বাধায় তিনি জমির দখল বুঝে নেন।
লাকি আহমেদ জানান, নতুন বান্দুরা মৌজার আর.এস ৩৪১ ও ৩৪০নং দাগের ৫২ শতাংশ জমি তার পিতা হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে নবাবগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ২৬/১১/২০১২ তারিখে ৮৩৬১নং সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয় সূত্রে মালিক হন। জমিটি কেনার পর ছোট বোন ইয়াসমিন আক্তার ও বোন জামাই তুষার আহমেদকে জমিটি দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়। ৪ বছর পর এসে দেখি ঐ জমিতে দোকান ঘর নির্মান করে অগ্রিম টাকা বাবদ ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণা করেছে।
তিনি জানান, ৬ বছর আমি চেষ্টা করেছি, তাদের বুঝিয়েছি জমি ছেড়ে দিতে। তাদের সাথে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের দারস্থ হলে দু’পক্ষকে ডেকে নেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাগজ দেখে আমার প্রতিপক্ষকে ঐ জমিতে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দর সহযোগীতায় আজ জমি বুঝে পেলাম।
লাকি আহমেদ অভিযোগ করেন, ইয়াসমিন আক্তার ও তুষার আহমেদ তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পরপরই তারা আমার জমিতে দোকান ঘর নির্মান করে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক আলমাস উদ্দিন বলেন, তুষার আহমেদকে তিন লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে দোকান ভাড়া চুক্তি করেছিলেন। এখন দোকান ছেড়ে দিয়ে লাকি আহমেদ-এর পার্শ্ববর্তী জমিতে চার দোকান মালিক নিজেদের টাকায় ঘর তুলে ব্যবসা করছেন।
দোকান মালিক রাজিব সাহা বলেন, দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে দোকান ভাড়া চুক্তি করেছেন। দোকান ঘর ভেঙে দেয়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
নাহিন থাই গ্লাস দোকান মালিক জানান, তুষার আহমেদকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা অগ্রিমসহ সাড়ে ৫ হাজার টাকা দোকান ভাড়ায় চুক্তি করেছিলেন। ঝামেলার বিষয়টি পরে জানতে পেরেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান এবিষয়ে বলেন, দু’পক্ষের কাগজ দেখেছি। লাকি আহমেদের নামে জমির নামজারি ও খাজনার রশিদ রয়েছে। জমিটি ব্যক্তিগত, দু’পক্ষ পারিবারিকভাবে এর সমাধান করেছেন।
এবিষয়ে জানতে ইয়াসমিন আক্তারের মুঠোফোনে সংযোগ দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।