জাতীয় ভোটার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
১৫ মার্চ ২০২১, ৫:২০ এএম

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২ মার্চ ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ‘জাতীয় ভোটার দিবস ২০২১’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আমি সম্মানিত ভোটারদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এবারের জাতীয় ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বয়স যদি আঠারো হয় – ভোটার হতে দেরি নয়’ খুবই যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় একজন ভোটার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সাংবিধানিক দায়িত্বপালন করেন এবং তার নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়মিত ভিত্তিতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের হালনাগাদকরণ কার্যক্রমে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিবন্ধিতদের এবং ২০২১ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত হালনাগাদ কার্যক্রমে নিবন্ধিতদের রিভাইজিং অথরিটির নিকট উত্থাপিত দাবি, আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ একটি প্রশংসনীয় অর্জন। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকাভুক্তির পাশাপাশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্রও প্রদান করে থাকে। আঠারো বৎসরের ঊর্ধ্বে সকল নাগরিকের ছবি ও আঙুলের ছাপের বায়োমেট্রিক তথ্যসহ কম্পিউটার-ভিত্তিক ডাটাবেইজ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত করছে। জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে ব্যক্তির সঠিক পরিচয় যাচাই করে সকল সরকারি চাকুরিজীবীর বেতন, পেনশন, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও বিধবাভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সেবাপ্রদান সম্ভব হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ সকল পর্যায়ের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশন তাদের সেবা কার্যক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ভোটগ্রহণ পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার শুরু করেছে যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সংগতিপূর্ণ। নির্বাচন কমিশনকে তাদের এ উদ্যোগের জন্য আমি সাধুবাদ জানাই। দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করবে – এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘জাতীয় ভোটার দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”